ময়মনসিংহ ০৭:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গফরগাঁওয়ে মায়ের আত্মহত্যার আগে শিশু কন্যাকে হত্যা

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার দত্তের বাজার ইউনিয়নের বিরই গ্রাম থেকে মা ও মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, মানসিকভাবে অসুস্থ মা প্রথমে শিশুকন্যাকে ফাঁস দিয়ে হত্যা করে পরে নিজেও আত্মহত্যা করেছেন।

নিহতরা হলেন মর্জিনা বেগম (২৪) ও তার মেয়ে ময়না (৩)। এ ঘটনায় শুক্রবার (২২ অক্টোবর) পাগলা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ নিহত মর্জিনার স্বামী শাহীনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সৌদি প্রবাসী শাহীন দেড় মাস আগে দেশে ফেরেন স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য। মর্জিনা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন। শাহীন স্থানীয় এক কবিরাজের মাধ্যমে তার চিকিৎসা করাচ্ছিলেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মর্জিনা ঘরের দরজা বন্ধ করে প্রথমে তিন বছরের মেয়ে ময়নাকে রশি দিয়ে ফাঁস দেয় এবং পরে নিজেও একই রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। বিকেলে শাহীন বাড়ি ফিরে দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করেন, কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে পাশের ঘরের উপর দিয়ে তাকিয়ে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে তিনি চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং খবর দেন পুলিশকে।

পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রতিবেশী বাচ্চু মিয়া বলেন, “দম্পতির মধ্যে কোনো পারিবারিক বিরোধ ছিল না। তবে মর্জিনা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন, এটি তার স্বামী আগেও জানিয়েছেন।”

জনপ্রিয়

যুক্তরাজ্যে ‘ময়মনসিংহ সোসাইটি’র আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

গফরগাঁওয়ে মায়ের আত্মহত্যার আগে শিশু কন্যাকে হত্যা

প্রকাশের সময়: ০৬:৩৯:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার দত্তের বাজার ইউনিয়নের বিরই গ্রাম থেকে মা ও মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, মানসিকভাবে অসুস্থ মা প্রথমে শিশুকন্যাকে ফাঁস দিয়ে হত্যা করে পরে নিজেও আত্মহত্যা করেছেন।

নিহতরা হলেন মর্জিনা বেগম (২৪) ও তার মেয়ে ময়না (৩)। এ ঘটনায় শুক্রবার (২২ অক্টোবর) পাগলা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ নিহত মর্জিনার স্বামী শাহীনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সৌদি প্রবাসী শাহীন দেড় মাস আগে দেশে ফেরেন স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য। মর্জিনা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন। শাহীন স্থানীয় এক কবিরাজের মাধ্যমে তার চিকিৎসা করাচ্ছিলেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মর্জিনা ঘরের দরজা বন্ধ করে প্রথমে তিন বছরের মেয়ে ময়নাকে রশি দিয়ে ফাঁস দেয় এবং পরে নিজেও একই রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। বিকেলে শাহীন বাড়ি ফিরে দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করেন, কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে পাশের ঘরের উপর দিয়ে তাকিয়ে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে তিনি চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং খবর দেন পুলিশকে।

পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রতিবেশী বাচ্চু মিয়া বলেন, “দম্পতির মধ্যে কোনো পারিবারিক বিরোধ ছিল না। তবে মর্জিনা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন, এটি তার স্বামী আগেও জানিয়েছেন।”