ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নে আহলে হাদিস তাবলীগে ইসলামের বাৎসরিক ইজতেমা আয়োজনকে ঘিরে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও ইজতেমাস্থল দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ফখরুল কবিরের বিরুদ্ধে।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে ধানীখোলা মিলন সমাজ মাঠে আয়োজিত এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এই অভিযোগ তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ আহলে হাদিস তাবলীগে ইসলামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে স্থানীয় শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, প্রতিবছরের মতো এবারও ৪৪তম তিন দিনব্যাপী জাতীয় ইজতেমার প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু হঠাৎই একদল ব্যক্তি রাজনৈতিক প্রভাবে ইজতেমাস্থল দখল ও আয়োজন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চালায়।
ধানীখোলা মার্কাজ মসজিদের ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক খতিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের বাৎসরিক ইজতেমার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু ধানীখোলা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ফখরুল কবিরের নেতৃত্বে কিছু ব্যক্তি মাঠ দখল ও ইজতেমা বন্ধের চেষ্টা করছে। এটি আমাদের ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপ। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আমরা কোনো রাজনৈতিক প্রভাব চাই না। গত ৪৩ বছর ধরে ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে, কখনো এমন পরিস্থিতি হয়নি।”
বাংলাদেশ আহলে হাদিস তাবলীগে ইসলামের কোষাধ্যক্ষ আলহাজ নাহিদুজ্জামান বলেন, “আমরা সরকারের অনুমতি নিয়েই ইজতেমার আয়োজন করি। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ধর্মীয় কার্যক্রমে বাধা দেওয়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা সরকারের হস্তক্ষেপ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা কামনা করছি।”
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন সূরা কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক (গোস্তা মার্কাজ), সূরা কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক (পারাইল মার্কাজ), জিম্মাদার মো. জামাল উদ্দিন (মাইজপাড়া জামে মসজিদ ও সভাপতি, মসজিদ কমিটি), সূরা কমিটি সদস্য মো. আবুল বাশার, জিম্মাদার আব্দুল বারী মাস্টার (মইশাটিকি জামে মসজিদ), জিম্মাদার আলহাজ মুনায়েম হোসেন (ইজতেমা প্যান্ডেল) এবং সহকারী জিম্মাদার মোফাজ্জল হোসেন দুলু (ইজতেমা প্যান্ডেল) প্রমুখ।
আগামী ইজতেমার সময়সূচি
আগামী ১২ নভেম্বর (বুধবার) সন্ধ্যায় ধানীখোলা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী মিলন সমাজ মাঠে শুরু হবে ৪৪তম তিন দিনব্যাপী জাতীয় আহলে হাদিস ইজতেমা। মাগরিবের নামাজের পর উদ্বোধনী বয়ান করবেন বাংলাদেশ আহলে হাদিস তাবলীগে ইসলামের আমির-এ-জামাত ড. মুযাফফর বিন মুহসিন।
দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিদেশ থেকে আগত ইসলামিক স্কলার ও চিন্তাবিদগণ সহীহ হাদিস ও কুরআনের আলোকে বয়ান করবেন। ইতোমধ্যে মাঠে মঞ্চ ও প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। আয়োজক কমিটির প্রত্যাশা, এবারের ইজতেমায় কয়েক লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশগ্রহণ করবেন।