ময়মনসিংহ ০৬:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাকৃবিতে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

ছবি: প্রতিদিনের ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয় নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে এই নবীনবরণের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই নবাগত সকল শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন বই প্রদান করা হয় যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিচিতি ও অর্জন তুলে ধরা হয়েছে।

পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, ছাত্র বিষয়ক বিভাগ, প্রক্টরিয়াল বডি, রেজিস্ট্রার এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে নবীনদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে নবীনদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বার্তা প্রদান করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এছাড়া দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়ম-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা এবং প্রাতিষ্ঠানিকসহ সার্বিক বিষয়ে নবীনদের অবগত করানোর জন্যে একটি উপস্থাপনার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, বর্তমান সমাজের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। খাদ্যশস্য, ফলমূল, বীজ উৎপাদনে বাকৃবির অবদান অনস্বীকার্য। আমি আশা করছি আজকের নবীনরা ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠিত হবে এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ধারায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে য়াবে। শিক্ষক হিসেবে আমরা তখনই গর্ববোধ করবো, যখন আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববাসীর কাছে দেশ এবং কৃষির সাফল্য তুলে ধরবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী নবীনদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভর্তি পরীক্ষার অনেক কঠিন সময় পাড়ি দিয়ে বাকৃবিতে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছো তোমরা। দেশকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজারের বেশি কৃষি গ্র্যাজুয়েট দিয়েছে বাকৃবি। আয়তনে দেশের অবস্থান বিশ্বব্যাপী ৯৬ তম হলেও কৃষিপণ্য উৎপাদনে অবস্থান ১৪ তম। দেশে উৎপাদিত কৃষি পণ্যের বার্ষিক আর্থিক মূল্য ৪ লক্ষ কোটি টাকারও অধিক। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে জলবায়ুগত প্রতিবন্ধকতা এখন বিরাট হুমকি। এসকল প্রতীকূলতা কাটিয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়ানোর জন্যে আইএলটিএসের একটি শাখা চালু করা হবে। যেকোনো পর্যায়ে উপযুক্ত সময়, উপযুক্ত কাজ এবং উপযুক্ত ব্যক্তি নির্ধারণ করতে হবে। সকল চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে স্মার্ট কৃষিবিদ হতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিন কাউন্সিলের আহব্বায়ক অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতার, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহব্বায়ক অধ্যাপক ড. ফৌজিয়া সুলতানা, রেজিস্ট্রার মো. অলিউল্লাহ এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগীয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয়

বাকৃবিতে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

প্রকাশের সময়: ০৩:৫৯:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪

ময়মনসিংহ: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয় নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে এই নবীনবরণের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই নবাগত সকল শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন বই প্রদান করা হয় যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিচিতি ও অর্জন তুলে ধরা হয়েছে।

পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, ছাত্র বিষয়ক বিভাগ, প্রক্টরিয়াল বডি, রেজিস্ট্রার এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে নবীনদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে নবীনদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বার্তা প্রদান করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এছাড়া দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়ম-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা এবং প্রাতিষ্ঠানিকসহ সার্বিক বিষয়ে নবীনদের অবগত করানোর জন্যে একটি উপস্থাপনার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, বর্তমান সমাজের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। খাদ্যশস্য, ফলমূল, বীজ উৎপাদনে বাকৃবির অবদান অনস্বীকার্য। আমি আশা করছি আজকের নবীনরা ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠিত হবে এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ধারায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে য়াবে। শিক্ষক হিসেবে আমরা তখনই গর্ববোধ করবো, যখন আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববাসীর কাছে দেশ এবং কৃষির সাফল্য তুলে ধরবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী নবীনদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভর্তি পরীক্ষার অনেক কঠিন সময় পাড়ি দিয়ে বাকৃবিতে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছো তোমরা। দেশকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজারের বেশি কৃষি গ্র্যাজুয়েট দিয়েছে বাকৃবি। আয়তনে দেশের অবস্থান বিশ্বব্যাপী ৯৬ তম হলেও কৃষিপণ্য উৎপাদনে অবস্থান ১৪ তম। দেশে উৎপাদিত কৃষি পণ্যের বার্ষিক আর্থিক মূল্য ৪ লক্ষ কোটি টাকারও অধিক। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে জলবায়ুগত প্রতিবন্ধকতা এখন বিরাট হুমকি। এসকল প্রতীকূলতা কাটিয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়ানোর জন্যে আইএলটিএসের একটি শাখা চালু করা হবে। যেকোনো পর্যায়ে উপযুক্ত সময়, উপযুক্ত কাজ এবং উপযুক্ত ব্যক্তি নির্ধারণ করতে হবে। সকল চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে স্মার্ট কৃষিবিদ হতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিন কাউন্সিলের আহব্বায়ক অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতার, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহব্বায়ক অধ্যাপক ড. ফৌজিয়া সুলতানা, রেজিস্ট্রার মো. অলিউল্লাহ এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগীয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।