ময়মনসিংহ ০৯:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বারহাট্টায় কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় আটক ১

ময়মনসিংহ: নেত্রকোনার বারহাট্টায় বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে চন্দ্রপুর লামাপাড়া থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক হওয়া পারুল আক্তার( ৪৫) ওই এলাকার দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ধর্ষণকারী  কিবরিয়া (২৮)  উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আ. ছাত্তারের ছেলে। তবে অভিযানের সময় মূল অভিযুক্ত ধর্ষণকারী পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বারহাট্টা থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ কামরুল হাসান।

‎থানায় মামলা ও ভুক্তভোগীর পরিবারসূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত কিবরিয়া ২ নং আসামি প্রতিবেশী পারুল আক্তারের বাড়িতে আগেই অবস্থান করছিল। ঘটনার সময় পারুল আক্তার ভুক্তভোগীকে ডেকে নিয়ে তার বাড়িতে যায়।পরবর্তীতে ঘরের বাহিরের সিটকারী লাগিয়ে চলে যায় পারুল। তখন সুযোগ পেয়ে খালি ঘরে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত কিবরিয়া। বিষয়টি প্রথমে ভয়ে পরিবারকে জানায় নি ভুক্তভোগী। তবে পরিবর্তীতে ভুক্তভোগী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়। কিবরিয়া প্রথমে বিয়ের আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে সবকিছু অস্বীকার করে।

‎ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জানায়, আমরা গরীব মানুষ ত্রিপলের ঘরে বসবাস করি। আমার স্বামী ভাড়ায় অন্যর অটোরিকশা চালায়। কিবরিয়া আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে সর্বনাশ করেছে। কয়েকদিন ধরে মেয়ে কিছু খায় না, বমি বমি ভাব। পরে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বিষয়টি স্বীকার করেছে। এখন আলট্রাসনোগ্রাম করে জেনেছি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।  ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।  আমি ন্যায় বিচার চাই।

‎কিশোরীর বাবা জানান, কিবরিয়ারা প্রভাবশালী, আমি দিন এনে দিন খাই। তাদের সাথে আমি হয়তো পারব না। আমি ন্যায় বিচার চাই।

‎বিষয়টি সম্পর্কে জানতে  বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ  মো. কামরুল হাসান বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েই আমরা মামলার ২ নং আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।

জনপ্রিয়

শেরপুরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেফতার

বারহাট্টায় কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় আটক ১

প্রকাশের সময়: ০৭:০৪:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ময়মনসিংহ: নেত্রকোনার বারহাট্টায় বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে চন্দ্রপুর লামাপাড়া থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক হওয়া পারুল আক্তার( ৪৫) ওই এলাকার দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ধর্ষণকারী  কিবরিয়া (২৮)  উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আ. ছাত্তারের ছেলে। তবে অভিযানের সময় মূল অভিযুক্ত ধর্ষণকারী পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বারহাট্টা থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ কামরুল হাসান।

‎থানায় মামলা ও ভুক্তভোগীর পরিবারসূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত কিবরিয়া ২ নং আসামি প্রতিবেশী পারুল আক্তারের বাড়িতে আগেই অবস্থান করছিল। ঘটনার সময় পারুল আক্তার ভুক্তভোগীকে ডেকে নিয়ে তার বাড়িতে যায়।পরবর্তীতে ঘরের বাহিরের সিটকারী লাগিয়ে চলে যায় পারুল। তখন সুযোগ পেয়ে খালি ঘরে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত কিবরিয়া। বিষয়টি প্রথমে ভয়ে পরিবারকে জানায় নি ভুক্তভোগী। তবে পরিবর্তীতে ভুক্তভোগী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়। কিবরিয়া প্রথমে বিয়ের আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে সবকিছু অস্বীকার করে।

‎ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জানায়, আমরা গরীব মানুষ ত্রিপলের ঘরে বসবাস করি। আমার স্বামী ভাড়ায় অন্যর অটোরিকশা চালায়। কিবরিয়া আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে সর্বনাশ করেছে। কয়েকদিন ধরে মেয়ে কিছু খায় না, বমি বমি ভাব। পরে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বিষয়টি স্বীকার করেছে। এখন আলট্রাসনোগ্রাম করে জেনেছি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।  ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।  আমি ন্যায় বিচার চাই।

‎কিশোরীর বাবা জানান, কিবরিয়ারা প্রভাবশালী, আমি দিন এনে দিন খাই। তাদের সাথে আমি হয়তো পারব না। আমি ন্যায় বিচার চাই।

‎বিষয়টি সম্পর্কে জানতে  বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ  মো. কামরুল হাসান বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েই আমরা মামলার ২ নং আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।